বিশেষ প্রতিবেদক লন্ডন থেকে
আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯: ৫০
নাবিলা মাসরালী
বাংলাদেশে নির্বাচন দেখতে ও জানতে একদল লোক না পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। কোনো কোনো বিশেষজ্ঞ মনে করেন, আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী বাংলাদেশে নির্বাচন সঠিকভাবে হয়নি।নাবিলা মাসরালি নামে একজন, যিনি ইউরোপীয় কমিশন নামে একটি গ্রুপে কাজ করেন, ফ্রান্স 24 নামক একটি টিভি চ্যানেলে তাদের প্রশ্ন করা হলে তিনি কিছু কথা বলেছিলেন। প্রথম আলো নামে একটি সংবাদপত্র যখন তাদের জিজ্ঞাসা করেছিল তখন তারা একই কথা বলেছিল।
গত সপ্তাহে, চার্লস হোয়াইটলি নামে এক ব্যক্তি, যিনি ইইউ নামে একটি গ্রুপের হয়ে কাজ করেন এবং ঢাকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছেন, তিনি বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে একটি চিঠি লিখেছেন। চিঠিতে তিনি বলেছেন, পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় তারা নির্বাচন দেখার জন্য দল পাঠাতে পারেননি।নাবিলা মাসরালি বলেছেন যে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল কারণ ইইউ এবং অন্যান্য স্বাধীন ব্যক্তিদের একদল বিশেষজ্ঞ মনে করেছিল যে এটি সেরা পছন্দ ছিল, পর্যাপ্ত অর্থ না থাকার কারণে নয়।
নাবিলা মাসরালী বলেন, ইইউ নির্বাচনের বিষয়ে জানতে বাংলাদেশে একদল লোক পাঠিয়েছে। তারা 6 থেকে 22 জুলাই পর্যন্ত সেখানে ছিল এবং তাদের কাজ ছিল তথ্য সংগ্রহ করা এবং নির্বাচন দেখার জন্য ইইউ-এর পক্ষে আরও লোক পাঠানোর জন্য এটি একটি ভাল ধারণা কিনা। তারা নিশ্চিত করতে চেয়েছিল যে বাংলাদেশ সুষ্ঠু নির্বাচনের নিয়ম মেনে চলছে।ইউরোপীয় কমিশন নামক একটি গোষ্ঠীর পক্ষে কথা বলা ব্যক্তি বলেছিলেন যে চারজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন যারা ইইউ নামে একটি জায়গায় কিছু খুঁজছিলেন। তারা বিভিন্ন লোকের সাথে কথা বলেছেন যেমন সরকারী কর্মী, বিচারক, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের লোকজন এবং অন্যান্যদের সাথে।
সবার সাথে কথা বলার পর তারা সিদ্ধান্ত নিল যে তাদের যা করার কথা ছিল তা তারা আর করতে পারবে না।কমিশন নামক একটি গোষ্ঠীর একজন ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে তাদের সিদ্ধান্ত কি কারণ তাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই। এটি বাংলাদেশে ঘটেছে, এবং জাহাঙ্গীর আলম নামে একজন উল্লেখ করেছেন যে তাদের সিদ্ধান্তের কারণ তাদের পর্যাপ্ত অর্থ ছিল না।আরিফুল্লাহ নামে ফ্রান্স 24-এর একজন সাংবাদিক ইন্টারনেটে এক বার্তায় বলেছেন যে কমিশনের কেউ তাকে বলেছে যে ইউরোপীয় এক্সটার্নাল অ্যাকশন সার্ভিস (ইইএএস) স্বাধীন প্রতিবেদনটি আমলে নিয়েছে।
প্রথম আলো নামের একটি পত্রিকা ইউরোপীয় ইউনিয়নের মুখপাত্রের দপ্তরকে প্রশ্ন করলে নাবিলা মাসরালী নামে এক ব্যক্তি একই কথা বলেন। তারা আরও বলেন, ইউরোপীয় কমিশন নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যোগদানের জন্য একটি ভাল প্রতিস্থাপন কী হবে তা নিয়ে ভাবছে, তবে বাংলাদেশ সরকার এবং নির্বাচন কমিশন সম্মত হলেই।বাংলাদেশে নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিকে চিঠি দিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত।
তারা বলেন, বাংলাদেশে এখনই সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য প্রয়োজনীয় সবকিছু হবে কিনা তা তারা নিশ্চিত নন। এই কারণে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন সাধারণত তাদের মতো নির্বাচন দেখার জন্য একটি বড় দল পাঠাবে না।গতকাল, ইউরোপীয় কমিশন বলেছে যে তারা জিম্বাবুয়ের নির্বাচন কমিশনকে আর সাহায্য করার জন্য 50 মিলিয়ন ডলার দেবে না। এটি একটি আশ্চর্যজনক কারণ তারা আগে বলেছিল যে তারা সাহায্য করবে, কিন্তু এখন তাদের কাছে পর্যাপ্ত অর্থ নেই।
